মো. নাঈমুজ্জামান নাঈম, কুলিয়ারচর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে ভাইকে মারধরের প্রতিবাদ করতে গিয়ে ভাবির হাতে ননদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট, ২০২৩ খ্রিঃ) সকাল আনুমানিক সাড়ে আটটার দিকে ছয়সূতী ইউনিয়নের বড় ছয়সূতী গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে । নিহত আছমা (৫৫), পাশ্ববর্তী লনাবাইদ গ্রামের দুলাল মিয়া দুলুর স্ত্রী। সে ৭ সন্তানের (২ ছেলে ও ৫ মেয়ের) জননী। পেশায় গৃহিণী।
এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে কুলিয়ারচর থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ১) নিহতের ভাবি নাছিমা (৪৫), স্বামী: শাহজাহান মিয়া, গ্রাম: বড় ছয়সূতী। ২) গ্রেফতারকৃত নাছিমার ছোট বোন নার্গিস বেগম (৩৫), স্বামী: আব্দুস সাত্তার মিয়া ও ৩) গ্রেফতারকৃত নাছিমার মেয়ে সাথী আক্তার (২০), স্বামী: রুবেল মিয়া। পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আগের দিন রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে স্বামী শাহজাহান মিয়াকে মারধর করে স্ত্রী নাছিমা।
এ ঘটনায় পরদিন (মঙ্গলবার) সকালে বাড়ির কাছেই বোনের বাড়ি থাকায় ছোট বোন আছমা ও নাদিরার কাছে গত রাতের মারধরসহ প্রায়ই মারধরের বিষয়টি জানালে দুইবোন মিলে ভাইয়ের বাড়িতে প্রতিবাদ করতে গেলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে নাছিমা (ভাবী) সহ তার মেয়ে (সাথী) ও ছোট বোনের (নার্গিস) মিলে চুল ধরে টানাটানি, কিল ঘুষি, গলাচিপা ও নারিকেলের ডাঙ্গার আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আছমা (ননদ)। তার নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। পরে স্থানীয়রা ও পরিবারের লোকজন আছমা (ননদ)-কে উদ্ধার করে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথিমধ্যে মারা যান।
এবিষয়ে কুলিয়ারচর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্সসহ হাজির হন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ঘটনার সাথে জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বলেন, মারামারিতে একজন নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কিশোরগঞ্জ জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।