মো. নাঈমুজ্জামান নাঈম, কুলিয়ারচর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে একসঙ্গে চার সন্তাানের জন্ম দিয়েছেন মোছাঃ লাকী আক্তার (২৮) নামে এক নারী।
বুধবার(৬ এপ্রিল) সকাল ১১ টায় ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম কলেজ ও হাসপাতালে (সিজারের মাধ্যমে) সন্তানদের জন্ম দেন তিনি।
জন্মের সাথে সাথেই সুস্থ অবস্থায় চার শিশুকে চারটি বেডে রাখা হয়েছে। তবে একসাথে চার শিশুর জন্ম দেয়ায় তাদের ওজন কম হয়েছে। অপরদিকে একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দেয়ার মায়ের শারীরিক অবস্থা অবনতি রয়েছে। এতে আইসিইউতে চিকিৎসারত রয়েছেন মা।
বিয়ের দীর্ঘ ১০ বছর পর এ ঘটনায় প্রসূতির পরিবার ও স্বজনদের মধ্যে আনন্দের সাথে সাথে সন্তানদের লালন-পালনেও চিন্তিত। লাকী কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতী ইউনিয়নের বড় ছয়সূতী খাঁ বাড়ির আক্তারুজ্জামানের ছেলে মো. ফাইজুর রহমানের স্ত্রী। পেশায় গৃহিণী। সে কুলিয়ারচর পৌরশহরের পশ্চিম গাইলকাটা মহল্লার মুছা মিয়ার মেয়ে।
লাকীর বড় ভাই মো. হাবিবুল্লাহ জানান, ১০ বছর আগে একই উপজেলার ফাইজুর রহমানের সাথে ছোট বোন লাকীকে বিয়ে দেওয়া হয়। দীর্ঘ বছর অতিবাহিত হলেও তাদের কোনো সন্তান-সন্তানাদি হচ্ছিল না। পরে ভাগল পুর জহুরুল ইসলাম কলেজ ও হাসপাতালের গাইনী কনসালটেন্ট ডা. ইসমত আরা-র পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করেন। এতে দীর্ঘ ১০ বছর পর একসাথে চার সন্তানের জন্ম দেন ছোট বোন। তিনি বলেন, বিষয়টি যেমন আনন্দের তেমনি চিন্তারও। কারন চার শিশুর বাবা একজন সামান্য দর্জির কাজ করেন। এতে চার শিশু সন্তানের লালন-পালনেও বোঝা হয়ে গেছে। তিনি তার ছোট বোন লাকীসহ চার সন্তানের সুস্থতার জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন এবং সকলের সহযোগিতাও কামনা করেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, চার শিশুর মধ্যে তিন বাচ্চার ওজনই ২০০০ গ্রাম করে। এক বাচ্চার ওজন ১৯৫০ গ্রাম। এরা সবাই সুস্থ আছে এবং তাদের মা অসুস্থ বিধায় আইসিইউতে আছে। বাচ্চাদের খাবারের সংস্থান হাসপাতাল থেকেই করা হচ্ছে।
লাকীর ভাবি পুষ্প আক্তার জানান, জন্মের সময় চার শিশুর বাবা হাসপাতালেই ছিলেন চার সন্তানের জন্মের কথা শুনে সে খুবই খুশি হয়েছেন।
এদিকে চার শিশু জন্মের কিছুক্ষণ অবস্থানের পর বাবা ব্যক্তিগত কাজে বাহিরে গেলে তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।