২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বিকাল ৪:২৮ বৃহস্পতিবার
  1. আন্তর্জাতিক
  2. কমলনগর
  3. কিশোরগঞ্জ
  4. কিশোরগঞ্জ জেলা
  5. খেলাধুলা
  6. চট্টগ্রাম
  7. জাতীয়
  8. তথ্য-প্রযুক্তি
  9. নারী ও শিশু
  10. নোয়াখালি
  11. ফেনী
  12. বিনোদন
  13. ভোলা জেলা
  14. ময়মনসিংহ
  15. রাজনীতি

সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় কিশোরগঞ্জের যুবক নিহত

প্রতিবেদক
মোহাম্মদ রাসেল পাটওয়ারী
ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২ ১১:০৬ পূর্বাহ্ণ

মো. মঞ্জুরুল হক মঞ্জু, পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: ১৩ ফেব্রুয়ারি সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় মিজানুর রহমান (হারিছ) (৩২) নামে কিশোরগঞ্জে এক যুবক নিহত হয়েছেন। বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্ররুয়ারী) বিকাল ৫টার দিকে সৌদি আরবের রিয়াদ এলাকায় একটি মালবাহী ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারালে তিনি আহত হন। নিহতের পরিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মিজানুর রহমান (হারিছ) বাড়ি কিশোরগঞ্জে পাকুন্দিয়া উপজেলা চন্ডিপাশা ইউনিয়ন ঘাগড়া গ্রামে সরদার বাড়ির সাহাব উদ্দিন ছেলে। সৌদি আরবে রিয়াদে একটি বলুদিয়া কোম্পানিতে চাকরি করতেন। তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের বাবা ছিলেন।

ঘটনা সম্পর্কে নিহতের ভাই ফরিদ জানান, গত সাত বছর আগে তার ভাই সৌদি আরবে যান। সেখানে তিনি রিয়াদে বসবাস করতেন। ৯ ফেব্ররুয়ারী বৃহস্পতিবার সকালে ডিউটিতে যান। ডিউটি শেষে সৌদি সময় বিকাল চারটা বাসায় ফিরছিলেন মিজানুর রহমান। রাস্তায় মালবাহী ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। পুলিশ এসে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। আজ ১৩ ফেব্ররুয়ারী রবিবার সকাল চিকিৎসা দিন অবস্থা ইন্তেকাল করেন।

তিনি আরও জানান, নিহত মিজানুর রহমান (হারিছ) পিতা সাহাব উদ্দিন ১১২ বছর বৃদ্ধ বলেন, গত ৭বছরের আগে আমার ছেলেকে সৌদি আরব রিয়াদে পাঠিয়েছি। এখন সে নাই, এ কথা ভাবতেই পারি না। দূর দেশে সে মারা গেছে, আমরা তার লাশটা কি পাবো?’ পরিবারের একমাত্র ছোট ছেলেকে হারিয়ে পুরো পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে। মিজানুর রহমান স্ত্রী কল্পনা বেগম দুই ছেলের এক মেয়ে কথা ভেবে বার বার মূর্চা যাচ্ছেনা বলেন, মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা সরকারের কাছে আকুতি জানাচ্ছি, আমার স্বামী মৃতদেহ আমাদের কাছে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হোক। আমরা লাশ যেন নিজ হাতে কবর দিতে পারি। আমার স্বামী পাঠানো টাকা দিয়ে আমার পরিবারের এবং আমার শশুরের ওষুধ খরচ চলতো। তার তিন ছেলে মেয়ে রয়েছে। সবাই তার দিকে চেয়ে থাকতাম। এখন আমাদের কি হবে? আমার নাতি নাতনি পুত্রবধূর কি হবে।’ এসব কথা বলে বার বার কান্নায় ভেঙে পড়েন বৃদ্ধ সাহাব উদ্দিন ১১২ বছর।

Please follow and like us:
error0
Tweet 20
fb-share-icon20

সর্বশেষ - কমলনগর