রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার ৬নং কেরোয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডস্থ ঐতিহ্যবাহী সম্ভ্রান্ত মোল্ল্যা বাড়ির মরহুম খোরশেদ আলমের ৫ম সন্তান হাজী ফিরোজ আলম। স্কুল জীবন থেকেই তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণীত হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে স্বক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করেন।
যার ফলশ্রুতিতে ১৯৮৭ সালে রায়পুরের ঐতিহ্যবাহী এল.এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কমিটির সভাপতির গুরুত্বপূর্ণ পদ লাভ করে তাঁর রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক দক্ষতা এবং বিচক্ষণতায় স্কুল ছাত্রলীগ হয় বেশ সুসংগঠিত ও সুদৃঢ়। ফলে নের্তৃত্বের পরীক্ষায় ছাত্রনেতা হিসেবে বেশ সুনাম ও সুখ্যাতি অর্জন করেন তিনি। তাঁর নের্তৃত্ব ও দক্ষতার গুনে তিনি ১৯৮৯ সালে ৬নং কেরোয়া ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।
এরপর রায়পুর সরকারি ডিগ্রী কলেজে অধ্যায়নরত অবস্থায় জীবন-জীবিকার তাগিদে ১৯৯২ সালে সৌদিআরবে চাকুরী নিয়ে চলে যান। দীর্ঘ ১২ বছর সৌদিতে বেশ মর্যাদাসম্পন্ন অবস্থানে কর্মজীবন সমাপ্ত করে দেশে স্থায়ীভাবে ফিরে আসেন। ছাত্রলীগের রাজনীতিতে তাঁর সফলতার পুরুস্কার ও স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ২০০১ সালে ৬নং কেরোয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সেক্রেটারী নির্বাচিত হন। এরপর ২০০৪ সালে রায়পুর থানা যুবলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদকের গুরুদ্বায়িত্ব প্রাপ্ত হন।
পরবর্তীতে তিনি ২০১৮ সালে রায়পুর থানা শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি এবং ২০১৯ সালে ৬নং কেরোয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
এছাড়া তিনি রায়পুর গার্লস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালেয়ের ম্যানেজিং কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও বর্তমানে সহ-সভাপতির দ্বায়িত্বে নিয়োজিত আছেন।এর পাশাপাশি তিনি রায়পুর থানা কমিউনিটি পুলিশিং সেলের কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োজিত আছেন। রাজনীতি ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পাশাপাশি তিনি কোরোয়া বায়তুস্ শরীফ জামে মসজিদের সেক্রেটারী হিসেবেও দ্বায়িত্ব পালন করে আসছেন বেশ সুনাম ও সুখ্যাতির সাথে। এছাড়া রাজধানী ঢাকাস্থ রায়পুরবাসীর বিশাল প্রতিষ্ঠান ঐতিহ্যবাহী কেরোয়া বহুমূখী সমবায় সমিতি লিঃ ঢাকা এর বর্তমানে সহ-সভাপতির গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত আছেন।
ব্যক্তিজীবনে তিনি রাজনীতির পাশাপাশি একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবেও সমাজে প্রতিষ্ঠিত। রায়পুরের মেইনরোডস্থ ঐতিহ্যবাহী শাহী হোটেলের গর্বিত মালিক তিনি। হাজী ফিরোজ নামে তিনি সর্বমহলে ব্যাপক পরিচিত।
৬নং কেরোয়া ইউনিয়নের সাবেক সুনামধন্য ইউপি চেয়ারম্যান (ঐতিহ্যবাহী মোহাম্মদীয়া হোটেলের মালিক), রায়পুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক প্রয়াত শাহজাহান কামাল তাঁর আপন সেজো ভাই।
সদা হাস্যজ্জ্বল, পরোপোকারী, দানশীল ব্যক্তি হিসেবে হাজী ফিরোজ এর সুনাম-সুখ্যাতি পুরো রায়পুর জুড়ে। ৬নং কেরোয়া ইনিয়নবাসীর কাছে তিনি বেশ গ্রহনযোগ্য ও ভালোবাসার মানুষ। আসন্ন ইউপি নির্বাচনে ৬নং কেরোয়া ইউনিয়নের সম্ভাব্য সকল প্রার্থীর সার্বিক মানদন্ড বিচার-বিশ্লেষনে সর্ববিষয়ে শ্রেষ্ঠেত্বের দাবীদার, যোগ্যতার বিচারে সর্বাধিক গ্রহনযোগ্য প্রার্থী হিসেবে সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ হাজী ফিরোজ আলমকে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী হিসেবে এবং ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায়। এলাকাবাসীর মন্তব্য, হাজী ফিরোজ আলমকে নৌকার প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিলে তিনি বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন এবং আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তী উজ্জ্বল করবেন ইনশাআল্লাহ্।
তাছাড়া কেরোয়াবাসীর সর্বস্তরের মানুষের অন্তরের আস্থাভাজন, বিপদের বন্ধু, নিজগুনে ও কর্মে সর্বস্তরের মানুষের হৃদয়ের ভালোবাসা অর্জনে সফল, তাঁদের হৃদয়ের মনিকোঠরের আজও বিদ্যমান সুনামধন্য মরহুম চেয়ারম্যান শাহজাহান কামালের রক্তের ভাই হিসেবে তাঁরই প্রতিচ্ছবি ও তাঁর আদর্শে আদর্শান্বীত এবং তাঁর গুনেগুনান্বিত হাজী ফিরোজ আলমকে চেয়ারম্যান হিসেবে পেলে এলাকাবাসীর ও এলাকার উন্নয়ন, ন্যায় বিচার, অসহায় নির্যাতিত মানুষের সেবা পাওয়ার বিষয়ে তাঁর কাছ থেকে নিঃস্বার্থভাবে সম্পূর্ণ সাহায্য-সহযোগীতা পাবে বলে এলাকাবাসীর বদ্ধমূল বিশ্বাস।