মো. নোমান হোসেন, লক্ষীপুর জেলা প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলায় বি এন পির সন্ত্রাসী দের হামলায় স্হানীয় মসজিদের ইমাম নিহত। স্হানীয় সূত্রে জানা যায় লক্ষীপুর সদর উপজেলা ভাঙ্গাখা ইউনিয়নের রাজিব পুর গ্রামের মুমিন উল্যা মিয়ার বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহিত ব্যক্তির নাম কাওসার (৫৫) তিনি স্হানীয় মসজিদের ইমাম ও জামায়াত ইসলামির ওয়ার্ড সভাপতি। তিনি সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর। তিনি মাদক কারবারি কামাল মেম্বার, স্বেচ্ছাসেবক নেতা সোহাগ, যুবদল নেতা রিয়াজ, ও বিএনপি’র সন্ত্রাসী ও মাদক, ইয়াবার মত জঘন্য কাজে বাধা দেওয়া তার ইমাম কাওসারের উপর হামলা চালায়। এতে কাওসার গুরুতর আহত হয়। স্হানীয়রা তাকে উদ্ধার করে লক্ষীপুর সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। উপস্থিত লোকজনে বলেন সন্ত্রাসী দের হামলার সাথে সাথে কাওসার নিহত হয়। এবং তিন জন আহত হয়।তারা এখন সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দিন অবস্হা ভর্তি আছে।
মসজিদের অনেক মুসুল্লি বলেন তাদের অপরাধের বিভিন্ন কর্মকান্ডে এলাকা বাসি অতিষ্ঠ। আমরা আজ থেকে তাদের বিরুদ্ধে সবাই বদ্ধ পরিকর।
আমাদের এলাকা বাসির দাবি দ্রুত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দিতে হবে।
প্রশাসন এলাকা বাসির সহযোগিতা ইমাম কাওসারের দুই খুনিকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারের বিষয়টি দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা নিশ্চিত করেন।
কাওসারের খুনিদের সবাইকে গ্রেফতার করে অতি দ্রুত তাদের বিচারের আওতায় আনার জন্য এলাকা বাসি দপায় দপায় মিছিল করেন।
নিহত ইমাম কাওসার কে তার নিজ বাড়িতে জানাজা শেষে দাপন করা হয়। তার জানাজা উপস্থিত ছিলেন লক্ষীপুর তিন আসনের সাংসদ সদস্য প্রার্থী ডা. রেজাউল করিম। এবং জামায়াতের জেলা আমির, পৌর আমির সহ বিএনপি’র বিভিন্ন নেতৃী বৃন্দ। তারা প্রত্যকে বলেন সন্ত্রাসীর কোন দল নাই। সন্ত্রাসী যে দলের হোক তাদের কঠিন বিচার হওয়া উচিত। তারা আর ও বলেন আমরা জুলাই গণ অভ্যূত্থানে আমরা এ দেশ কে ফ্যাসিষ্ট মুক্ত করেছি। নতুন করে আমরা আর কোন নব্য ফ্যাসিষ্ট দেখতে চাই না। লক্ষীপুর জেলা শান্তির নগরী। যারা এ শান্তির নগরী কে অশান্ত করতে চায় তারা যে দলেরই হোক তাদেরকে এ দেশের ছাত্র জনতা রুখে দিবে। আমরা শোক তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করছি।পরিবার কে ধৈর্য্য ধরার জন্য ফরিয়াদ করছি।